অনলাইন ডেস্ক: বান্দরবান সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারো গোলার শব্দ শোনা গেছে। কয়েক দিন বিরতির পর মিয়ানমারের গোলার বিকট শব্দে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে বলে জানা গেছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী সীমান্তের কাছে ৩৯ ও ৪০ নম্বর সীমানা পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় এ গোলার বিকট শব্দ শোনা যায়। সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশি বাসিন্দারা ওই গোলার শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এলাকাবাসী জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী সীমান্তের কাছে মিয়ানমারে এক সপ্তাহ ধরে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। সন্ধ্যা ৬টার পর হঠাৎ করে সীমান্তের মিয়ানমার প্রান্তে তিনটি গোলার শব্দ শোনা যায়।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তিনি বান্দরবান জেলা সদরে অবস্থান করছেন। সন্ধ্যায় রেজু আমতলী সীমান্ত এলাকার ওপারে মিয়ানমারে গোলার শব্দ শোনা গেছে বলে এলাকাবাসী তাকে জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের ভেতরের এ গোলাগুলি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ছাড়িয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তেও ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে রোববার (২ অক্টোবর) সকালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় মাইন বিস্ফোরণে ফারুক (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হয়। এ সময় আহত হন আরেক যুবক।
বান্দরবানের ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছে ২২ হাজারের বেশি। আর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থান করছে সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.